শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
শুক্রবার, স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা সাথে GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের ট্রেড করা হচ্ছে এবং মূল্য 1.2913 থেকে 1.2980 রেঞ্জের সাইডওয়েজ চ্যানেলের মধ্যে অবস্থান করেছে। গত চার দিন ধরে, মূল্য ধারাবাহিকভাবে এই রেঞ্জের মধ্যে অবস্থান করছে। ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যের শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সত্ত্বেও, মার্কেটে এখনো কোনো কারেকশনের ইঙ্গিত নেই, এমনকি সামান্যও কারেকশনেরও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। শুক্রবার পরিলক্ষিত এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট দেখে বোঝা যায় যে মার্কেটের ট্রেডাররা মূলত ডলারের পক্ষে থাকা ইতিবাচক সংবাদ উপেক্ষা করছে।
শুক্রবার, যুক্তরাজ্যের শিল্প উৎপাদন ও জিডিপি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, যা গত সপ্তাহের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন ছিল। জানুয়ারির জিডিপি পূর্বাভাসের তুলনায় কম ছিল, এবং শিল্প উৎপাদন 0.9% হ্রাস পেয়েছে, যা প্রত্যাশার চেয়ে নেতিবাচক ফলাফল ছিল। তবে, ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনে পাউন্ড স্টার্লিং-এর মূল্য হ্রাস পায়নি। এটি এই ইঙ্গিত দেয় যে মার্কেটের ট্রেডাররা এই প্রতিবেদনগুলোকে উপেক্ষা করেছে, যদিও সাধারণত প্রতিবেদনের এই ধরনের ফলাফল ডলারকে সমর্থন করার কথা। তবে, যদি ট্রাম্প উইকেন্ডে নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, তাহলে সোমবার ডলারের দরপতন ঘটতে পারে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
শুক্রবার, ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে কেবলমাত্র একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, যা সহজেই উপেক্ষা করা যেতে পারত। দিনের শেষের দিকে, মূল্য 1.2913 লেভেল থেকে বাউন্স করেছিল, তবে উইকেন্ড শুরু হওয়ার আগে মার্কেটে এন্ট্রি করা উপযুক্ত ছিল না—বিশেষত যখন ট্রাম্প যেকোনো মুহূর্তে বিবৃতি দিতে পারেন এবং মার্কেটে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারেন।
সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা ইতোমধ্যেই শুরু হওয়া উচিত ছিল, তবে ট্রাম্পের গৃহীত পদক্ষেপ এটিকে প্রতিরোধ করছে। মাঝারি মেয়াদে, আমরা এখনো 1.1800 এর লক্ষ্যমাত্রায় পাউন্ডের দরপতনের সম্ভাবনা বিবেচনা করছি। তবে, ট্রাম্পের কারণে ডলারের দরপতন কতদিন স্থায়ী হবে তা অনিশ্চিত। যদি এই মুভমেন্ট শেষ হয়, তাহলে সব টাইমফ্রেমে টেকনিক্যাল চিত্র নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। তবে আপাতত, দীর্ঘমেয়াদে এখনও এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অযৌক্তিক এবং অতিরিক্ত বলে মনে হচ্ছে।
সোমবার, যদি ট্রাম্প মার্কেটে অস্থিরতা সৃষ্টি করেন এবং তার বিভিন্ন শর্ত আরোপ করতে থাকেন তাহলে GBP/USD পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী কারেকশন হওয়া দরকার, তবে বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডাররা ডলার কেনার ব্যাপারে আগ্রহী নয়।
৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং লেভেলগুলো হল: 1.2301, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2613, 1.2680-1.2685, 1.2723, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107। সোমবার, যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। তবে, আমরা মনে করিয়ে দিচ্ছি যে বর্তমানে ট্রেডারদের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রয়োজন নেই, কারণ ট্রাম্পের বিবৃতিগুলোর ওপর ভিত্তি করে মূল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শুন পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত কৌশল হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।